কৃষ্ণধন নাথ
কস্তুরী মেঘনিভ শিশিরের শাড়ী তার ঝলমল করে,
শরৎ শিউলি রাঙ্গা মায়াময় ফেনিল প্রান্তরে।
যেখানে শত শত নীলকন্ঠ পাখি নেমে এসে,
পাখায় তরঙ্গ তোলে আকাশের উচ্ছ্বসিত বেশে,
অসংখ্য নক্ষত্ররাজি সুরভিত কদম্বের বনে,
মুক্তার আলোক জ্বালে ঝিকিমিকি মনিকার স্তনে।
হিমেল হ্রদের জলে মানসের মায়াবী মরাল,
ওড়ে যেন ময়ূরপঙ্খীর শিরে প্রবালের পাল।
রাত্রির নীরব চোখে গাঢ় আলো নিমিষে ঘনায়,
মালাবার সাগরের স্নিগ্ধ চোখে ইতিউতি চায়,
অপার রহস্যময় ধূপছায়া রোদের মতন,
কৈলাশে কস্তুরী কুঞ্জে কাঁপে হিম দেওদার বন।
সারি সারি তরুশ্রেণী কথা বলে অস্ফুট ভাষায়,
ফিরোজা শিশির ঝরে এলোমেলো রাত্রির হাওয়ায়।
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ফেরি করে জোছনার ভিতর,
মেরুর রাত্রির মতো আলো কাঁপে শান্ত ধীর নীলাভ ধূসর।
জোনাকির নিস্তরঙ্গ আলোকের মাঝে আসি নেমে,
মণিকা, তোমার নিবিড় নীড়ে তোমারই প্রেমে।